সর্বশেষ ঘোষণা
সরকারি/বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ২০২৫ সালের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি সরকারি/বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ২০২৫ সালের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি Tender For QUOTATION for Computer, TV, and Accessories প্রধান শিক্ষক এর বিদেশ ভ্রমণে অনাপত্তি প্রসঙ্গে জনাব মোঃ ইসহাক গাজী-এর আন্তর্জাতিক-বিশেষ ছাড়পত্র অনুমোদন (NOC) সরকারি/বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ২০২৪ সালের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি ম্যানেজিং কমিটি গঠনে পুনরায় দাতা সদস্য সংগ্রহ এর বিজ্ঞপ্তি সরকারি/বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের ২০২৩ সালের ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি অনলাইন ভর্তি স্কুলের ভিতর মোবাইল ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষেধ স্বাগতম আধারা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে

প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

image-not-found

মতলব দক্ষিণ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আধারা উচ্চ বিদ্যালয়। উপজেলার উত্তর সীমান্তের অনেকটা পশ্চিম পাশ ঘেঁষে যার অবস্থান। উপজেলার নায়েরগাঁও -পিতাম্বর্দি সড়ক থেকে সামান্য উত্তর পাশে আধারা গ্রামে ১৯৭৩ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের পাশেই রয়েছে চুনু মার্কেট এবং আধারা গ্রামের নামে বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয়। বিদ্যালয়েটি, আধারা, নাউজান, পেয়ারীখোলা সহ আশপাশের এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে যারা অর্থ, মেধা ও সম্পত্তি দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তারা হলেন : মোঃ আইউব আলী । এ ত্যাগী ব্যক্তির অনুদানের ফলে আধারা উচ্চ বিদ্যালয় বিদ্যালয়ের জমির পরিমাণ ১ একর সাড়ে ২০ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে বিদ্যালয়টি ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত চালু করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিদ্যালয়টি যোগ্য, দক্ষ এবং পরিশ্রমী শিক্ষকদের আন্তরিকতা আর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহযোগিতায় সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছে।

সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে আধারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ফলাফলের দিক থেকে এ বিদ্যালয় বরাবরই সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছে।
সীমাহীন সমস্যার মাঝেও সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইসহাক গাজী। তিনি সবসময়ই ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের মাঝে অভিভাবকের মতো থাকতে চান। জীবনের সবটুকু সামর্থ্য বিলিয়ে দিয়ে এ বিদ্যালয়ের সাফল্যকে সবার শীর্ষে নিয়ে যেতে চান। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সকল সদস্য এবং শিক্ষকগণ বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে শিক্ষক, অভিভাবক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নিয়মিত তথ্য বিনিময়ের প্রতি সবসময়ই গুরুত্ব দিয়ে থাকেন সভাপতি মোঃ হারুনুর রশিদ । ফলে বেগবান হচ্ছে এ বিদ্যাপীঠের অগ্রযাত্রা। সঠিকভাবে সকলের সহযোগিতায় পরিচালনা কমিটি অবদান রাখতে পারলে বিদ্যালয়টি আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগী মহল মনে করে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইসহাক গাজী জানান, শিক্ষার গুণগত মান উন্নত করে তিনি তার বিদ্যালয়কে পর্যায়ক্রমে কুমিল্লা বোর্ডের অন্যতম একটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করবেন। এ মহৎ কাজটি সম্পন্ন করতে তিনি এলাকার সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন। এর জন্য তিনি প্রতিটি কাজের ইতিবাচক দিক নিয়ে এগিয়ে যেতে চান।

প্রধান শিক্ষক মোঃ ইসহাক গাজী আরো বলেন, সরকার এসএসটিটিআই-এর মাধ্যমে বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। আমাদের শিক্ষকগণও সেখানে গিয়ে নতুন নতুন পাঠ কৌশল রপ্ত করছেন। এর ফলাফল ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে পারলে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও সাফল্যের ধারা প্রবাহমান থাকবে। এছাড়া তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের ভালো ফলাফলের জন্য শিক্ষকদের সহযোগিতায় অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা রয়েছে। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এ বিদ্যালয়ের সুনাম ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত থাকুক শিক্ষকতা জীবনের এ প্রান্তে এসে এটাই আমার একমাত্র চাওয়া।

প্রধান শিক্ষকের বাণী

image-not-found

মানব জাতির সূচনা লগ্ন থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ প্রতিনিয়ত জ্ঞান ও কৌশল আয়ত্ব করে চলছে। আর শত সহস্র বছরের সঞ্চিত ও অর্জিত জ্ঞান শেখানো হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যুগের প্রয়োজনে মানবের কল্যাণে সমাজ হিতৈষী ব্যক্তিরা কখনো কখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এমনিই ভাবেই দক্ষ, অভিজ্ঞ, জ্ঞানে সু-গভীর ও বিদ্যানুরাগী ব্যক্তিগন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষ, যোগ্য, আদর্শ ও সুনাগরিক রূপে গড়ে তোলার অভিপ্রায় নিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায়, মতলব দক্ষিণ উপজেলার অন্তরগত আধারা গ্রামে প্রাকৃতিক ও সু-নিবিড় পরিবেশে মানসম্মত ধর্মীয় ও আধুনিক বিদ্যাপীঠ হিসাবে। সঠিক ধর্মীয়, নৈতিক শিক্ষা ও যুগোপযোগী আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি গুনগত ও মানসম্মত শিক্ষাদানে সক্ষম। বর্তমান সরকারের শিক্ষা বিষয়ক নির্দেশনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিক্ষকবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়, শিক্ষার্থীদের নিরলস অধ্যয়ন ও অধ্যবসায় এবং অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত পরামর্শে প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে যাচ্ছ। আল্লাহ তা’য়ালা এই প্রতিষ্ঠানটিকে সঠিক ইসলাম ও আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত শিক্ষার মারকায হিসাবে কবুল করে নিন। আমিন!!!

সভাপতির বাণী

image-not-found

১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত আধারা উচ্চ বিদ্যালয় এর ধারাবাহিক সাফল্যে এলাকাবসীর দাবী ও শিক্ষার্থীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে চাঁদপুরের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থীদের ও সর্বোপরি এলাকাবাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। এলাকাবাসীর সেবার মনোভাব নিয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রসারে এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে একটি স্থান করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য মানুষের মাঝে এক ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় তাঁরা তাঁদের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করাতে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অভিভাকগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকগণের একাগ্রতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা।